ইসলাম
আরাফার দিনের গুরুত্ব,তাৎপর্য ও আমাদের করনীয়
আরাফার দিন বছরের শ্রেষ্ঠতম দিন। এদিনেই বিশ্বনবী (ﷺ) আরাফার ময়দানে ঐতিহাসিক বিদায় হজ্জের ভাষণ দিয়েছিলেন।
আরাফার দিনকেই হজ্জের দিন বলা হয়। এমহিমান্বিত দিনেই, ইসলামকে পরিপূর্ণ ও পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আরাফার দিনের রোজা পূর্বাপর দুই বছরের পাপ মোচনকারী।
যারা হজ্জ করবে না বা করতে পারবে না এই রোজাটি শুধু তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
আরাফার দিবসের দু’আ হল শ্রেষ্ঠ দু’আ। রাসূল (ﷺ) আরাফার দিনে আকাশের দিকে দু হাত উঁচু করে দীর্ঘসময় ধরে দু’আ করেছেন। এদিনে এতবেশী সংখ্যক বান্দা বান্দীকে আল্লাহ তা’আলা জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির ঘোষণা দেন, যা বছরের অন্য কোনদিন দেন না।
এদিনে আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে তাঁর বান্দা বান্দীদের প্রতি রহমত ও ক্ষমার এ দৃশ্য দেখে, ইবলিস শয়তান এতোটাই ক্রোধান্বিত, লাঞ্ছিত ও অপমানিত বোধ করতে থাকে যা আর অন্য কখনো হয়না। আরাফার দিনে যা করণীয়: নফল রোজা রাখা,বেশী বেশী তাকবির পাঠ ও আন্তরিকভাবে দু’আ করা।
আরাফার দিনের বিশেষ দু’আ, যেটা বিশ্বনবী (ﷺ) সহ সকল নবিরা পড়তেন-
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
“লা ইলাহা ইল্লালাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির”
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক এবং একক, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
মোহাম্মদ উল্লাহ রানা
Mohammad Ullah
সম্পাদক
আমাদের লাকসাম
সৌদিআরব,পবিত্র মক্কা থেকে,
১৮/০৭/২০২১ ইং।