ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে লাকসামের ষাট উর্ধ্ব আমিনুল হক
লাকসাম প্রতিনিধি: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে ষাট উর্ধ্ব জনৈক ব্যক্তিকে ডাল হিসেবে ব্যবহার করতে গিয়ে ব্যবহৃত ব্যক্তি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর প্রহর গুণছে।
জানা যায়, কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মরহুম আবুল কালামের ছেলে প্রবাসী মোঃ ইয়াছিনের স্ত্রী মোসাৎ আছিয়া আক্তার শিউলিকে পারিবারিক কলহের কারণে প্রবাস থেকে তার স্বামী একটি ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে তাকে তালাক দেয়।
কিন্তু আশারকোটা গ্রামের মোঃ ফজল হকের মেয়ে মোঃ ইয়াছিনের স্ত্রী মোসাৎ আছিয়া আক্তার শিউলি তালাক প্রাপ্তের ষ্ট্যাম্প পেয়েও তার স্বামীর ঘর না ছেড়ে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ফন্দি আঁকছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
গত ২ জানুয়ারী ২০২২ইং তারিখে একই গ্রামের ৬৫ বছর বয়সের আমিনুল হক নামের এক লোককে সু-কৌশলে ডেকে পাঠান আছিয়া তার ঘরে। সরল প্রকৃতির আমিনুল হকের বক্তব্য থেকে জানা যায় যে, ঘরে আসার পর কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে আছিয়া আক্তার শিউলি তার কাছাকাছি আসে এবং বয়স্ক আমিনুল হককে বলতে থাকে আপনি বলবেন আমার ননদ ও শাশুড়ি মিলে আপনাকে তাবিজ ও কুফরি তদবির নিয়ে আমার ঘরে পাঠিয়েছেন। নতুবা আপনাকে ঘরে রেখে আমি চিৎকার দিব।
৪ সন্তানের জনক আমিনুল হক এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না ও মিথ্যা কথা বলতে পারবে না বললে তখন আশেপাশের লোকজনকে ডেকে বলতে থাকে এই লোকটা আমার ঘরে ডুকে আমাকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছে। লোকজন জড়ো হলে তখন বয়স্ক লোকটার কান্নার এক পর্যায়ে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে উপস্থিতগণ তাকে ছেড়ে দেয়। বয়স্ক লোকটি একই গ্রামের হওয়ার কারণে মিথ্যা খবরটি দ্রæত তার বাড়িতে পৌছে যায়। পরবর্তীতে এলাকার কিছু স্বঘোষিত সালিশদারগণ স্বপ্রনোদিত হয়ে উক্ত বয়স্ক আমিনুল হকের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী কোহিনুর আক্তার (৫৫) কে ডেকে তার সাথে মিলিয়ে দেয়।
বিষয়টির ব্যাপারে আমিনুল হকের স্ত্রী বলেন আমার স্বামীর সাথে আমার কোন সমস্যা নেই এবং আমার স্বামী চরিত্রহীন নয়। বরং তিনি ২ বার ষ্ট্রোক করেছেন। তারপরও কেন তারা আমাকে ডেকে মিলিয়ে দিয়েছে তাহা আমার জানা নেই। ছেলে মেয়ে নাতি নাতনি বিষয়টির জানলে লজ্জায় পরদিন ৩ জানুয়ারী ২০২২ইং বয়স্ক আমিনুল হক বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দ্রæত লোকটিকে লাকসাম সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওয়াশ করলে বেঁচে যান। কিন্তু ডাক্তারগণ বলেন এখনো মৃত্যুর আশংকা কমে নাই।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আমিনুল হক একজন সহজ সরল ও ভালো মনের একজন মানুষ। তার বিষয়ে শিউলি যে অভিযোগ করেছে তাহা শয়তানেও বিশ^াস করবে না। কথা বলতে বলতে ষড়যন্ত্রের শিকার আমিনুল হক এক পর্যায়ে কান্না কান্না করতে বেহুশ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরপর বলতে থাকে আমাকে মরতে দাও। কেন আমার চিকিৎসা করছো? আমার এই বিচার কেউ করলো না। ঘটনাটি এলাকাতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।