কুমিল্লায় অটোরিকশায় বাসের চাপায় ভাইবোন নিহত, আহত ৩
কুমিল্লায় সুগন্ধা পরিবহণ নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় থাকা দুই মাদরাসা শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এসময় অটোরিকশার আরও তিন যাত্রী আহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের ছগুরা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো, জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জুনায়েদ হোসেন (১২) ও তার বোন ফাহিমা (৯)। তারা দুই ভাইবোন ছগুরা ইসলামিয়া মাদরাসার আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল।হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, হোসেনপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন পেশায় একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। তার ছেলে এবং মেয়ে ছগুরা ইসলামিয়া মাদরাসার আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল।বৃহস্পতিবার রাতে জাহাঙ্গীর তার নিজের অটোরিকশায় করে দুই সন্তানকে মাদরাসা থেকে শিশু দুটির নানা বাড়ি পাশের ওলুয়া যাচ্ছিলেন।
রাত ৮টার দিকে মাদরাসা থেকে একটু দূরে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা সুগন্ধা পরিবহণ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই জুনায়েদের মৃত্যু হয়। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় ফাহিমাকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুই শিশুর বাবা জাহাঙ্গীরসহ অটোরিকশার অন্য তিন যাত্রীও আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা সড়কে চলাচল করা বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে।হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, সুগন্ধা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে দুই শিশু নিহত হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দুটিকে উদ্ধার করে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে। মরদেহ দুটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।