গা শিউরে ওঠা সেই রাতের ভ,য়ংক,র বর্ণনা দিলেন ভু,ক্ত,ভোগী নারী
ময়না (ছদ্মনাম)। নারায়ণগঞ্জে কাজ করলেও তার গ্রামের
বাড়ি কুষ্টিয়ায়। ঈদের পর জরুরি কাজে বাড়িতে যান তিনি।
কাজ শেষে নৈশকোচে ফিরছিলেন কর্মস্থলে। কিন্তু পথেই তাদের বাসে ঢোকে ডাকাতদল। সবাইকে জিম্মি করে সবকিছু লুটে নিলেও তার ওপর চলে ডাকাতদের পাশবিক নির্যাতন। তার হাত বেঁধে ফেলে সিটের সঙ্গে, বাঁধা হয় মুখও। এরপরই তাকে ধর্ষণ করে পাঁচ-ছয়জন ডাকাত সদস্য। এভাবেই গা শিউরে ওঠা বর্ণনা দিলেন কুষ্টিয়া থেকে কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জ ফেরার পথে বাসে ধর্ষণের শিকার সেই নারী। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই ঘটনাটির বর্ণনা দেন তিনি। এ ঘটনায় রাজা মিয়া নামে
একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীর বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বর্তমানে টাঙ্গাইলের একটি হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামতও মিলেছে। ভুক্তভোগী নারী জানান, ঘটনার দিন রাতে ঈগল পরিবহনের বাসে নারায়ণগঞ্জ ফিরছিলেন তিনি। বাসে তার সিট ছিল পেছনের দিকে। রাতে যাত্রীবেশে বাসে ওঠে ডাকাতদল। এর মধ্যে একজন তার পাশেই বসে। ডাকাতরা সবাইকে জিম্মি করে সবকিছু লুট করার পর তাকে ধর্ষণ করে পাঁচ-ছয়জন। এ সময় তিনি বাঁধা দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু তার হাত সিটের সঙ্গে বেঁধে ফেলে তারা। মুখও বাঁধে। এরপর তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় ডাকাতরা। মঙ্গলবার রাতে ঈগল পরিবহনের একটি বাস কুষ্টিয়ার বড়াইগ্রাম থেকে ৩০-৩৫ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরছিল। পথে যাত্রীবেশে ডাকাতদল উঠে প্রথমে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর এবং লুটের পর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর বাসটি ঘুরিয়ে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের সামনে ফেলে রেখে নেমে যায় ডাকাতদল।