লাকসামে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
লাকসামে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মাদরাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের আমদুয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত হাফেজ মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম রাশেদ (২১) ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়া ওই ছাত্রীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর মা জানান, বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকাল সাড়ে নয়টায় মক্তবের শিক্ষক রাশেদ (২১) আমার মেয়েকে (১২) মক্তবে যাওয়ার জন্য ডেকে নেয়। আমার ছোট ছেলেসহ (৯) মক্তবে গেলে মেয়েকে তার রুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। ভেতরে ধস্তাধস্তির শব্দ হলে ছোট ছেলেটি কিছুক্ষণ চেঁচামেচির পর বাড়িতে এসে আমাকে জানায়। পরে দৌড়ে গিয়ে রাশেদের রুমের দরজা পিটালে কপাট খুলে দেয়। ভেতরে দেখি মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। রাশেদকে বার বার জিজ্ঞেস করলেও সে কোন ভয় সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে মেয়েকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইত্যবসরে রাশেদ পালিয়ে যায়।
আমদুয়ার পূর্বপাড়া দর্গাবাড়ি জামে মসজিদের সভাপতি মাওলানা অহিদুর রহমান জানান, হাফেজ মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম রাশেদ (২১) বালিয়াপুর নূরানী মাদরাসার শিক্ষক। সে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার ৬নং চরআলগী ইউনিয়নের মোঃ দুলালের ছেলে। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ মসজিদের মোয়াজ্জিন ও মক্তবের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। আর মেয়েটির স্থানিয় একটি মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনাটি আমরা শুনেছি। ন্যাক্কারজনক এ বিষয়টি তার কাছে আশা করিনি। আমরা তার উচিত বিচার চাই।