শিল্পপতিকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে লেকে ফেলে দেন পরকীয়া প্রেমিকা
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন মাসুম (৬২) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রুমা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, হ্যাকস ব্লেড এবং নিহত মাসুমের পরিধেয় সাফারি স্যুট উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন রুমা। তার দেয়া তথ্যমতে মাসুমের মরদেহের অন্যান্য অংশ খুঁজে পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত রুমা আক্তার ময়মনসিংহের গৌরীপুরের তাতরাকান্দা এলাকার নজর আলীর মেয়ে।পুলিশ সুপার জানান, শিল্পপতি মাসুমের সঙ্গে রুমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে গত ১০ নভেম্বর শেওড়াপাড়া রুমার ভাড়া বাসায় মাসুমকে প্রথমে দুধের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করা হয়।
এরপর তার মরদেহ চাপাতি ও হ্যাকস ব্লেড দিয়ে খণ্ড খণ্ড করে পাঠাওয়ের গাড়ি যোগে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন রুমা। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।নিহত মাসুমের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর বিকেলে জসিম ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বাসা থেকে বের হয়ে গুলশান যান।
এরপর গাড়িচালককে ছেড়ে দেন। চালককে জানিয়েছিলেন, অন্য গাড়িতে নারায়ণগঞ্জের কারখানায় যাবেন। তবে রাতে বাসায় না ফেরায় ও মোবাইল বন্ধ থাকায় পরদিন গুলশান থানায় তার বড় ছেলে জিডি করেন।
উল্লেখ্য, বুধবার পূর্বাচল ৫ নম্বর সেক্টরের একটি লেকের পাড় থেকে কালো পলিথিনের ব্যাগের ভেতরে শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুমের বিচ্ছিন্ন মাথা, দুটি হাত, বিচ্ছিন্ন দুটি পা, বুকের অংশ এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ভুরি, ফেপসা ও কলিজা একটি সাদা পলিথিনের ভেতর মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইংয়ের মালিক। তিনি রাজধানীর বসন্ধুরা আবাসিক এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।