ফেসবুকে আসছে নতুন মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম
ফেসবুক সম্প্রতি তাদের কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে পরিবর্তন এনেছে। যা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আয়ের পথ আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করে তুলবে। নতুন প্রোগ্রামটির লক্ষ্য হলো ক্রিয়েটরদের বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট থেকে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ দেওয়া।এই নতুন প্রোগ্রামটি ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিল অ্যাডস এবং পারফরম্যান্স বোনাসকে একটি সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করছে।
ফলে ক্রিয়েটররা রিল, লং-ফরম্যাট ভিডিও এবং অন্যান্য পোস্ট থেকে উপার্জন করতে পারবেন। এটি কেবল রিল বা ছোট ভিডিওর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং ফটো এবং টেক্সট পোস্টও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।মূলত, ফেসবুক এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ক্রিয়েটরদের জন্য আয় করা আরও সহজ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এবং টুলস একীভূত করছে।
যেমন: নতুন ইন-স্ট্রিম অ্যাডস ক্রিয়েটরদের দীর্ঘ ফরম্যাটের ভিডিও থেকে উপার্জন করতে সহায়তা করবে। অন্যদিকে, রিল অ্যাডস শুধুমাত্র ছোট ভিডিওর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং অন্যান্য মিডিয়া পোস্টও এতে অন্তর্ভুক্ত হবে।এছাড়াও, ফেসবুক একটি ‘পারফরম্যান্স বোনাস’ সিস্টেম চালু করছে, যা ক্রিয়েটরদের কাজের গুণগত মান ও দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে বোনাস দেবে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ক্রিয়েটররা তাদের কাজের মান উন্নত করতে এবং ক্রমাগত আয় বাড়ানোর সুযোগ পাবেন।
এই নতুন মনিটাইজেশন মডেলটি ২০২৫ সালে সকলের জন্য উন্মুক্ত হবে। বর্তমানে এটি শুধুমাত্র আমন্ত্রিত ক্রিয়েটরদের জন্য বিটা ভার্সনে চালু করা হয়েছে। বিটা ভার্সনের অংশ হিসেবে, এক মিলিয়ন ক্রিয়েটর এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।ফেসবুক ক্রিয়েটরদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা এবং নিরাপত্তা উন্নয়নেও কাজ করছে, যাতে কনটেন্ট মনিটাইজেশন আরও সহজ এবং নিরাপদ হয়।
এই উদ্যোগ ফেসবুকের ক্রিয়েটরদের প্ল্যাটফর্মে আরও আকৃষ্ট করবে এবং ক্রিয়েটর ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করবে। ক্রিয়েটররা এই সুযোগগুলোর মাধ্যমে তাদের আয়ের ধরন এবং কনটেন্ট তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আরও উদ্ভাবনী হওয়ার সুযোগ পাবেন।বিশেষ করে নতুন ফিচারগুলোর মাধ্যমে কনটেন্টের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে এবং বিজ্ঞাপনদাতারাও এই প্ল্যাটফর্মে আরও আগ্রহী হবে।
একসাথে, এই প্রোগ্রামটি ফেসবুককে একটি শক্তিশালী কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলবে। যা ক্রিয়েটরদের ভবিষ্যৎ কনটেন্ট তৈরির প্রক্রিয়া এবং আয়ের জন্য আরও সহায়ক হবে।ইন-স্ট্রিম অ্যাডস: এই ফিচারের মাধ্যমে দীর্ঘ ফরম্যাটের ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন যুক্ত করার সুবিধা রয়েছে।
ক্রিয়েটররা তাদের ভিডিও কনটেন্টের মাঝে বা শেষে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারবেন। যা ভিডিওগুলোর ভিউ সংখ্যা এবং দর্শকদের ইন্টারেকশনের উপর ভিত্তি করে আয় করবে।রিল অ্যাডস: রিল ভিডিওগুলো ছোট আকারের হলেও, রিল অ্যাডস ফিচারের মাধ্যমে ক্রিয়েটররা শুধু রিল থেকেই নয়, বরং ছবি, ভিডিও ও টেক্সট পোস্ট থেকেও আয় করতে পারবেন।
এটি কনটেন্ট মনিটাইজেশনের আরও বিস্তৃত সুযোগ তৈরি করবে।পারফরম্যান্স বোনাস: এই ফিচারের মাধ্যমে ফেসবুক ক্রিয়েটরদের তাদের কাজের গুণগত মান এবং দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে অতিরিক্ত বোনাস প্রদান করবে। যারা ভাল পারফরম্যান্স করবে, তাদের জন্য এই বোনাস আয়ের একটি বাড়তি উৎস হবে।
বেশি ধরণের কনটেন্ট থেকে আয়: ক্রিয়েটররা শুধুমাত্র ভিডিও বা রিলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না। ছবি এবং টেক্সট পোস্টও মনিটাইজেশনের আওতাভুক্ত হয়েছে। ফলে, বিভিন্ন ধরণের কনটেন্ট থেকে আয় করা আরও সহজ হবে।এই নতুন উদ্যোগ কেন গুরুত্বপূর্ণ?ফেসবুকের নতুন মনিটাইজেশন প্রোগ্রামটি ক্রিয়েটরদের আয়ের নতুন সুযোগ তৈরির পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা ও নিরাপত্তাকে আরও উন্নত করবে।
ক্রিয়েটররা তাদের কনটেন্ট থেকে আরও বেশি উপার্জনের সুযোগ পাবেন ।বিজ্ঞাপনদাতারাও এই নতুন ফিচারগুলোর মাধ্যমে ফেসবুককে আরও আকর্ষণীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করবে। ফেসবুকের এই নতুন উদ্যোগ এক মিলিয়ন ক্রিয়েটরের জন্য বিটা ভার্সনে উপলব্ধ এবং এটি ২০২৫ সালে সকলের জন্য উন্মুক্ত হবে।