স্পর্শিয়ার আপত্তি: ধর্ষণের পর অশালীন সংলাপ
বিনোদন ডেস্ক: অনন্য মামুন পরিচালিত সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘নবাব এলএলবি’ ছবির একটি দৃশ্য নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভাইরাল হওয়া সেই দৃশ্যে এক ধর্ষিতা নারী মামলার জন্য থানায় যান। সেখানে পুলিশের এসআই ওই নারীকে অশালীন ভাষায় ধর্ষণ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। আর তাতেই বিতর্কের ঝড় উঠে।
ওই দৃশ্যের মাধ্যমে পুলিশকে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় ছবিটির পরিচালক ও ওই দৃশ্যে এসআই চরিত্রে অভিনেতা শাহীন মৃধার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। এরইমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
শাকিব খান ও মাহিয়া মাহি অভিনীত ‘নবাব এলএলবি’ ছবির ওই ধর্ষিতা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেত্রী স্পশিয়া।
ওই দৃশ্যটি করতে স্পর্শিয়ার আপত্তি ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দৃশ্যধারণের সময় আমি পরিচালককে বলেছিলাম ওভাবে না করতে, পুলিশি ঝামেলা হতে পারে। শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো। কারণ, সিকোয়েন্সটির উপস্থাপনা ভালো হয়নি। সুন্দর কথা যেমন খারাপভাবে উপস্থাপন করা যায়, আবার খারাপ কথাও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়। ওই দৃশ্যটিতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, সেটির উপস্থাপনা সুন্দর হয়নি।’
তবে সহশিল্পী শাহিন মৃধাকে গ্রেফতারে কষ্ট পেয়েছেন জানিয়ে স্পর্শিয়া বলেন, ‘ওই সিকোয়েন্সটির কারিগর চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক। অভিনেতা এজন্য দায়ী হতে পারেন না। শাহিন মৃধাকে আমি আগে থেকে চিনতাম না। ছবিতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। উনার পারিশ্রমিকও অনেক কম। এই মানুষটি এরকম একটা বিপদে পড়ায় আমার খুব খারাপ লাগছে।’
এদিকে ওই দৃশ্যের জন্য পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় পরিচালক অনন্য মামুন ও অভিনেতা শাহিন মৃধাকে গত ২৫ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। আগের দিন ২৪ ডিসেম্বর রাতে অনন্য মামুনকে আটক করে পরে তাকে গ্রেফতার দেখায় ডিবি পুলিশ।
গত ২৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ আদালতে আসামিদের আটক করার আর্জি জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
অনন্য মামুন ও শাহিন মৃধা ছাড়াও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে মামলায় আসামি করা হলেও এজাহারে স্পর্শিয়ার নাম নেই বলে জানা গেছে।