অনুমোদন পেল করোনার ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’, দাম ৭০ টাকা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য মুখে খাওয়ার ক্যাপসুল ‘মলনুপিরাভির’ বাজারজাতকরণ শুরু করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ২০০ মিলিগ্রামের প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ টাকা। করোনায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এ ক্যাপসুল খেতে পারবেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, মলনুপিরাভির ক্যাপসুলের ফুল কোর্স হবে পাঁচদিনে। প্রতিদিন আটটি ক্যাপসুল খেতে হবে, যার মধ্যে সকালে চারটি ও রাতে চারটি। অর্থাৎ পাঁচদিনে মোট ৪০টি ক্যাপসুল খেতে হবে। সেই হিসেবে একজন রোগীর জন্য ফুল কোর্সের মলনুপিরাভির দাম পড়বে দুই হাজার ৮০০ টাকা।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক (মার্কেটিং) রিজভী উল কবির জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সোমবার (৮ নভেম্বর) থেকে রাজধানী ঢাকায় এবং আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) থেকে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে মলনুপিরাভির ক্যাপসুল পাওয়া যাচ্ছে।
রিজভী উল কবির বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্দেশনা ও গাইডলাইন মেনে আমরা এক হাজার ৬০০ বক্স মলনুপিরাভির ক্যাপসুলের নমুনা জমা দিয়েছিলাম। অধিদপ্তরের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করে এ ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে। এরপরই আমরা মলনুপিরাভির ক্যাপসুল বাজারজাত শুরু করেছি।
বেক্সিমকো ছাড়াও করোনার ক্যাপসুল উৎপাদনের অনুমোদন পেয়েছে এসকে অ্যান্ড এফ, ইনসেপটা এবং জেনারেলসহ আরও বেশ কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি।
মঙ্গলবার দুপুরে এসকে অ্যান্ড এফ ফার্মাসিউটিক্যালসও ওষুধটির উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে থাকবে বলে জানান।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপ-পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, দেশে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যে প্রক্রিয়ায় এর আগে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য রেমিডিসিভির উৎপাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ ইউএস এফডিএ যেহেতু করোনার চিকিৎসায় অনুমোদন প্রদান করেছে তাই জরুরি ব্যবহারের জন্য আমাদেরও অনুমোদন দিয়েছে।
মার্কিন ওষুধ কোম্পানি মার্ক, শার্প অ্যান্ড ডোহম (এমএসডি) এবং রিজব্যাক বায়োথেরাপটিকসের ‘মলনুপিরাভির’ করোনা চিকিৎসায় প্রথম অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটের অনুমোদন দেয়, যা ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ না করে ওষুধ হিসেবে খাওয়া যাবে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকার করোনা চিকিৎসায় ই মলনুপিরাভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এরপরই মূলত দেশে এই ওষুধটির উৎপাদন ও ব্যবহারের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়।