কুমিল্লা জেলানাঙ্গলকোট

নাঙ্গলকোটে বাবাকে হত্যা করে কাদায় মরদেহ লুকিয়ে রাখলো ছেলেরা!

কুমিল্লা: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছেলেদের বিরুদ্ধে বৃদ্ধ বাবা এনামুল হক (৬২) ওরফে এনাম দরবেশকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যার পর মরদেহ গুম করে পুকুরের কাদা মাটিতে চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এনামুল হক উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের জোড্ডা পূর্বপাড়া মিয়াজী বাড়ির মৃত শামছুল হকের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) এনামুল হকের স্ত্রী মাফিয়া বেগম বাড়ির পার্শ্ববর্তী পানিশূন্য পুকুরের কাদামাটি আনতে গিয়ে মাটির ভেতরে এনামুলের মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ পুকুর থেকে এনামুল হকের মরদেহ উদ্ধার করে এদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, এনামুল হকের পিঠে, গাড়ে এবং মুখে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে বাবা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাবাদের জন্য পুলিশ এনামুল হকের তিন ছেলে নুর মোহাম্মদ সুমন (৩২), নুর আলম সুজন (৩০), শাহপরানকে (২৪) থানা হেফাজতে নিয়েছে। পুলিশ ঘরের ভেতর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র দা, বটি এবং রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার করেছে। এ সময় ঘরের মেঝেসহ বিভিন্নস্থানে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। এনামুল হক গত সোমবার রাত ৯টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জোড্ডা গ্রামের এনামুলের সঙ্গে গত প্রায় এক বছর ধরে তার ছেলেদের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এনামুল হক কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে তার এক ছেলে শাহজাহানকে প্রবাসে পাঠায়। অপর ছেলে শাহপরানকেও প্রবাসে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেন তিনি। এনিয়ে অন্য ছেলেদের সঙ্গে এনামুল হকের বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিয়াজী একাধিকবার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধানের চেষ্টা করেন।

নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এনামুল হকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার আলামত হিসেবে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

তার তিন ছেলেকে জিজ্ঞাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। হত্যার ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।

Show More

Related Articles

Back to top button