লাকসাম

লাকসামে আনোয়ারা ফার্মেসিতে ২৮ টাকার একটি ঔষধের দাম ধরা হয়েছে ১৫০ টাকা

লাকসাম : ক্রমবর্ধমান পৃথিবী যতখানি আধুনিক হচ্ছে, মুদ্রার উল্টোপিঠে ততটাই পানসে হচ্ছে মানুষ। আট কিংবা আশি, সকলের শরীরে রোগের অট্টহাসি। মধ্যবিত্ত জনতা ডাক্তারের কাছে যাবার আগে পকেটের কথা ভাবে, নিম্নবিত্তের কাছে ডাক্তার দেখানো বিলাসিতা। দুই শ্রেণিই সবার আগে হাজির হয় ঔষধের দোকানে, দোকানি যাদের প্রাথমিক ত্রাতা। হাঁচি, কাশি, জ্বর অথবা রক্তচাপ, ডায়াবেটিস; ফার্মেসির দোকানদার তাদের অতি আপন হয়ে ওঠে তখন।

সেই সুযোগে ঔষধের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে রাখে ব্যবসায়ীরা। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (মঙ্গলবার) তারিখে লাকসাম জেনারেল হাসপাতালের পাশে ‘আনোয়ারা ফার্মেসি’-তে এক ক্রেতা ‘jasocaine gel 2’ নামক ঔষধ কিনতে গেলে ২৮ টাকা মূল্যের ঔষধটির দাম ধরা হয় ১৫০ টাকা! জানতে চাইলে দোকানি বলেন, সাপ্লাই নেই! একসময় জড়িয়ে পড়েন তর্কে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লাকসাম ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সংশ্লিষ্ট একজনের কাছে লাকসাম জার্নাল বিষয়টি তুলে ধরলে তিনি জানান, ‘অনেক সময় সত্যি সত্যিই সাপ্লাই থাকে না। তখন দোকানিকেও বেশি দামে কিনতে হয়। তবে এতটাও বেশি রাখার যৌক্তিকতা নেই। এর কারণ আমরা খতিয়ে দেখব।’

দিন দিন যেন বাড়ছে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। কাউকে মানছে না তারা। না কোর্ট, না আইন, কাউকে না! ভাবছে না সাধারণ মানুষের কথা। লাকসাম উপজেলায় ২০২০ সালের ফেব্রুযারি মাসে পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের জনগণের পক্ষ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় উল্টো আধাবেলা বন্ধ রাখে ফার্মেসি। মিথ্যাচার রটায় মেয়রের বিরুদ্ধে।

আমার এই দেশটাই কিন্তু স্বল্পমূল্যে প্যারাসিটামল তৈরি করে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে। হৃদরোগের ঔষধ তৈরি করে পাঠাচ্ছে বিদেশেও। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পের ক্রমবর্ধমান সুনাম হয়ত টিকে থাকবে, বাড়বে ব্র্যান্ডভ্যালু। তাতে লাভবান হবে একদল মানুষ, আর লালসার আগ্রাসনে নিস্তেজ হবে অসংখ্য প্রাণ।

সরকারি হস্তক্ষেপ নয়, প্রয়োজন আমার আপনার সচেতনতা। জাগ্রত হবার সময় বোধকরি চলে এসেছে। নইলে কে জানে, নিম্নমানের ঔষধ আর লাগামহীন মূল্যের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পরবর্তী শিকার আপনিই কি না !

Show More

Related Articles

Back to top button