খেলা

সাফজয়ী নারী দলকে সংবর্ধনা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলার বাঘিনীরা। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৩০ অক্টোবর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এদিকে নেপালকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ নারী দলকে অভিনন্দন জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এরপর মুঠোফোনেও তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।এর আগে সাফজয়ী নারী দলকে শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নবনির্বাচিত সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও নারী দলকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। নারীদের বিজয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা বিসিবিও।বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শুরু হওয়া ম্যাচে গ্যালারীতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। ম্যাচটি বাংলাদেশ ২-১ গোলে জয়লাভ করে। বাংলাদেশের হয়ে গোল দুটি করেন মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা।

নেপালের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ফরোয়ার্ড আমিশা। এ নিয়ে ৬ বার হৃদয় ভাঙল নেপালের। গত আসরেও তারা বাংলাদেশের কাছে শিরোপা হারিয়েছিল।নারীদের সাফে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ছিল ভারত। যার সাত আসরের ৫টিরই চ্যাম্পিয়ন। ২০২২ সালে ভারতের আধিপত্যের ইতি টেনে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।

এরপর দেশে ফিরলে ছাদখোলা বাসে করে বাঘিনীদের বরণ করে নেয় বাংলাদেশের মানুষ। তাদের বরণে কোনো কমতি ছিল না বাংলাদেশের। এবার আবার এমন বরণ হবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।অথচ আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে গোলশূন্য শেষ হয় দু’দলের ছন্দহীন প্রথমার্ধ। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচ জমে উঠে। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন মনিকা চাকমা।

নেপালের ডি বক্সে বল পেয়ে মনিকা চাকমা ডানপ্রান্ত থেকে আড়াআড়ি শটে স্বাগতিক গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। তবে এই গোল শোধ করতে বেশি সময় নেয়নি নেপাল। দুই মিনিট পরেই তারা ম্যাচে সমতা ফেরায়। আমিশার নেয়া শটে রূপনা চাকমা পড়ে না গেলে হয়তো লাল সবুজের বাঁচাতে পারতেন।৮১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে বাংলাদেশ।

সতীর্থের কাছ থেকে কর্নার কিক-জোনে বল ঋতুপর্ণা চাকমা। তাতে টেক্কা দিচ্ছিলেন নেপালের দুই খেলোয়াড়। সেখান থেকেই শট নেন ঋতু। নেপাল গোলরক্ষক হাত লাগাতে সক্ষম হলেও বলের গতিরোধ করতে পারেননি, বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।শেষদিকে উভয় দলই আরও কয়েকটি আক্রমণ শানায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউই আর জালের দেখা পায়নি। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় সাবিনা খাতুনদের উল্লাস।

Show More

Related Articles

Back to top button