দেশজুড়ে

ফিজিওথেরাপির আড়ালে সিলেটে দেহ ব্যবসা!

বাসার সামনে সাঁটানো নীল রঙের সাইনবোর্ড। ‘মা ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড হিজামা ক্লিনিক’ সাইনবোর্ড দেখে যে কেউ অনুমান করবেন এখানে থেরাপি দেওয়া হয়।

দেখে ভদ্র প্রতিষ্ঠান মনে হলেও আড়ালে চলছিল কালো ধান্দা। থেরাপি ব্যবসার আড়ালে প্রতিষ্ঠানটিতে তরুণীদের রেখে চলছিল দেহ ব্যবসা। শনিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদে কথিত ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে আটক করা হয় দুই নারী, দুই পুরুষ এবং ম্যানেজারকে।

স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ছদ্মবেশি ভদ্র লোকদের আনাগোনায় এলাকার লোকজনের নজর পড়ে প্রতিষ্ঠানটির দিকে।আবাসিক এলাকা হওয়ায় ক্লাব সদস্যদের পরিকল্পনায় ছিল প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মুখোশ উন্মোচন। এজন্য সভাও আহ্বান করেছিলেন তারা। তার আগেই গোপন সংবাদে পুলিশ অভিযান চালায় সেখানে।

পুলিশের অভিযানকালে দেখা যায়, নগরের মীরের ময়দাপয়েন্ট সংলগ্ন পুলিশ লাইনস মসজিদের বিপরীতে অর্ণব ৩৫ নম্বর বাসায় মা ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড হিজামা ক্লিনিকের আড়ালে এমন অপকর্ম করে আসছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, বাসাটি নিয়ে মামলা ঝুলছে উচ্চ আদালতে। বাসার মূল মালিক দাবিদারদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কর্তৃক স্থিতাবস্থা সত্ত্বেও বাসাটির ভাড়া দেন দখলদার! ভবনের বিপরীতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পুলিশ লাইনস মসজিদ। দেখে বোঝার উপায় নেই যে, লোকচক্ষুর অন্তরালে প্রতিষ্ঠানটিতে চলছে দেহ ব্যবসা, এমনটি জানান স্থানীয়রা।

সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি থেকে আটক করা ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা বেরিয়ে এসেছে। এমন ছদ্মবেশি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে কালো ধান্দার বিষয়টি স্থানীয়রাও টের পেয়েছিলেন। এ নিয়ে তারা বৈঠক আহ্বান করেন। তার আগেই গোপন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়ে দুই নারী, দুই পুরুষ ও ম্যানেজারকে আটক করা হয়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, আটকদের নাম প্রকাশে অপারগতা জানান তিনি।

Show More

Related Articles

Back to top button