রাজনীতি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহশ্রাব্দ লক্ষ্য অর্জন ও নেতৃত্ব

গোলাম রাব্বানী মজুমদার

সকল শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষের একটি আবশ্যকীয় অনুশীলনের নাম হচ্ছে রাজনীতি। রাজনীতি মানুষের সকল ধরনের চাওয়া পাওয়া অথাৎ তাঁর অধিকার, দায়-দায়িত্ব -কর্তব্য, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত সমৃদ্ধি, ধর্ম -কর্ম, সমাজ সংস্কার ইত্যাদি ইত্যাদি সকল কিছুকেই সম্পর্কিত করে। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে জনগোষ্ঠীর একটি বৃহত্তম অংশ সার্বিক অর্থে রাজনীতি চর্চার বাইরে থেকে যায়। ক্ষুদ্র একটি অংশ মাত্র স্বক্রিয় ভাবে রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে তাঁদের মেধা মনন খাটিয়ে একাগ্রচিত্তে সততা ও নিষ্ঠার সাথে অদম্য সাহসিকতা নিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টি ও রাষ্ট্রের কল্যাণে ধারাবাহিক ভাবে লেগে থেকে তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সর্বসাধারণের মাঝে আদর্শ জন হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। সমাজ বা রাষ্ট্রের এই সব ব্যাতিক্রম ধর্মৗ বৈশিষ্ট্য মন্ডিত বিশেষায়িত ব্যাক্তিগণই হচ্ছেন নেতা। নেতা সর্বসময় শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়েই এগিয়ে চলেন না। অনেক ক্ষেত্রে হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা বা কাজের গুরুত্ব বুঝে উঠার আগেই কোনো ভাবনা চিন্তা ছাড়াই তাঁকে নিজ কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিতে হয় এবং দায়িত্বটি ঝুকিপুর্ণ হলেও তিনি লাগাম ছেড়ে দেননা বরং অন্যদেরকে সম্পৃক্ত করে শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সফলতা আনতে সক্ষম হন।
আমাদের জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির অহংকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতির মুক্তি আন্দোলনে জেল, জুলুম, নির্যাতনকে উপেক্ষা করে তাঁর সামনে আসা সকল প্রতিবন্ধকতাকে উতরে লাগাতার আন্দোলন সংগ্রামে লেগে থেকে তাঁর সততা, একনিষ্ঠতা ও মোহনীয় নেতৃত্বের গুণে বাংলার সর্বস্তরের নিপিড়ীত নির্যাতিত মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করে লাগাতার ক্ষমতায়নের চেষ্টায় সারা বাংলার মানুষদের জাগিয়ে তুলে ঘরে ঘরে অসংখ্য অসংখ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। যার ফলশ্রæতিতে ৭১’এ মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে এক সাগর রক্তের দামে আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশ প্রিয় পতাকা অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালী জাতির নয় তিনি হয়ে উঠেছিলেন সারা বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের মহান নেতা, এক অমর অনুপ্রেরণার নাম। মহাত্মা গান্ধি, মাহাথির মোহাম্মদ, নেলসন ম্যান্ডেলার মত ইতিহাস বিখ্যাত মহৎ ব্যাক্তিগণ এভাবেই মানব ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন।
আমাদের প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাছিনা বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত করা এবং ৪১খ্রিঃ উন্নত দেশ গড়ার যে স্বপ্ন তিনি আমাদেরকে দেখাচ্ছেন তাতে বঙ্গবন্ধুর মত তাঁরও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতিফলন ঘটেছে। মাননীয় নেত্রীর বিশাল এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নেও প্রয়োজন ৭১’এর মত ঘরে-ঘরে নেতৃত্ব দানে সক্ষম এক ঝাঁক দায়িত্ববান নেতা তৈরি করা। যাদের কাজ হবে মানুষদের জাগিয়ে তোলা, সঙ্গবদ্ধ করা এবং দায়িত্ব সচেতন করে গড়ে তোলা। যা প্রিয় নেত্রী তাঁর বক্তব্য – বিবৃতির মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মী সহ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের লাগাতার তাগাদা দিয়ে আসছেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো দেশের বেশিরভাগ এলাকায় তৃনমূলে নিজ দলের বিশাল কর্মী সমর্থক বাহিনী থাকা স্বত্তে¡ও সঠিক কর্মপন্থা ও দিকনির্দেশনা প্রদানে সক্ষম সঠিক দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের অভাব এবং কোন কোন ক্ষেত্রে স্বার্থ দ্ব›দ্ব ও ক্ষমতা কেন্দ্রিক রাজনীতির কারনে এখনো সারাদেশে নিজ দলে সঠিক কর্যকর নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি। বরং ক্ষমতা কেন্দ্রীক অপ রাজনীতির কারনে তৃণমূলে দলের বৃহৎ দেশপ্রেমিক অংশটি দিন দিন হতাশায় ডুবে যাচ্ছেন।
দেশের বিশিষ্ট সম্মানিত নাগরিকগন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, একমাত্র সকল দেশপ্রেমিক নেতাকর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই হতে পারে প্রিয় নেত্রীর সহশ্রাব্দ লক্ষ্য অর্জনে সাফল্যের বাহন। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

Show More

Related Articles

Back to top button