সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকলে কঠোর বিরোধিতা করব: সারজিস-হাসনাতের ক্ষোভ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানালে কঠোর বিরোধিতা করা হবে।সোমবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ তার পোস্টে লিখেছেন, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব।এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত তিনটি সংসদ বাতিলের দাবি জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি জানান।হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নানা ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।
তারা আবার দেশে ফেরার চেষ্টা করলে তাদের অপরাধ অনুযায়ী বিচার করা হবেতিনি আরও বলেন, বিগত তিনটি ইলেকশন ও সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে দ্রুত রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে হবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে ফেসবুক সারজিস লেখেন, ‘জাতীয় পার্টির মতো মেরুদন্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদের প্রধান উপদেষ্টা কিভাবে আলোচনায় ডাকে?’
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া হয়েছে বেশকিছু প্রস্তাব। ড. ইউনূসের কাছে কিছু আবদারও রেখেছেন তারা। সংলাপে কেউ প্রস্তাব দিয়েছেন নানামুখী সংস্কারের, আবার কেউ প্রস্তাব দিয়েছেন কেবল নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের।
কেউ কেউ নির্বাচনের রোডম্যাপও জানতে চেয়েছেন।এর বাইরে বিগত সরকারের মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজানো মামলা প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা ও প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে আবদার করেছেন অনেকে।