প্রবাসীদের আয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি: এ ডি বি
মহামারির প্রথম ঢেউয়ের সময় সব বাধা পেরিয়ে যেভাবে এগিয়েছিল এ দেশের অর্থনীতি, সেই ধারা অব্যাহত থাকবে আগামী দিনগুলোতেও। এমন আশাব্যঞ্জক পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
শুক্রবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা থেকে এশিয়ার অর্থনীতি বিষয়ক সম্পূরক আউটলুক প্রকাশ করেছে এডিবি। এতে এশীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে আগের দেয়া পূর্বাভাস সংশোধন করা হয়েছে।
জুলাইয়ের আউটলুকে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের (২০২১ সালের জুনে শেষ হয়েছে) প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া, ২০২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশের রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। এগুলোর হাত ধরে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার।
তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত এপ্রিল থেকে দেয়া বিধিনিষেধে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটছে বলে উল্লেখ করেছে এডিবি।
এ মাসের আউটলুকে আরও বলা হয়েছে, এশিয়ায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অব্যাহত থাকলেও গত এপ্রিলে প্রকাশিত আউটলুকে প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, তা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। এপ্রিল মাসে এশিয়ায় ৭ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা বলেছিল এডিবি, এখন তা ৭ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে কয়েকটি দেশে ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে।
তবে ২০২২ সালে এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার পূর্বঘোষিত ৫ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।
দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগের তুলনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। অঞ্চলটি ২০২১ সালে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে আভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক।
দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এই নিম্নগতির অন্যতম কারণ ধরা হচ্ছে ভারতের পরিস্থিতিকে। গত এপ্রিলের পূর্বাভাসে এডিবি বলেছিল, ২০২১ সালে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ হতে পারে। এখন বলা হচ্ছে, এর হার হবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। আর ২০২২ সালে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে সাড়ে সাত শতাংশ।
অন্যদিকে, ২০২১ সালে পূর্ব এশিয়ার সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে এডিবি। এর পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে চীনা অর্থনীতির। অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে ইতিবাচক গতি অব্যাহত থাকায় ২০২১ সালে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৮ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।