শহীদুল ইসলাম শাহীন: কুমিল্লার আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে ওকালতি করার অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ১৪৪১ নং সদস্য ও কুমিল্লার আইনজীবী সমিতির ১২২৮ নং সদস্য লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে ওকালতি করার অভিযোগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলা জজ ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মোঃ রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কুমিল্লা বঙ্গবন্ধু “ল” কলেজে ২০০৯ শিক্ষাবর্ষে এল.এল.বি. পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন লুৎফুর রহমান।যার রোল নং ৯৪১৭৮০, রেজিঃ৮৯০৩২৭৪। উক্ত পরিক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন। তারপর উক্ত লুৎফুর রহমান দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লা ক্যাম্পাস থেকে ২বছর মেয়াদী এল.এল.বি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে ২০১১ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে জমা দেয়। বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২ বছর মেয়াদী দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের এল.এল.বি পাশ পরিক্ষা স্থগিত করে ৩০/০৩/২০১২ ইং তারিখে বার কাউন্সিলের ওয়েব সাইটে একটি রিজেক্ট লিস্ট প্রকাশ করে। উক্ত রিজেক্ট লিস্টে লুৎফুর রহমানের সিরিয়াল নাম্বার ২৬৯, পেন্ডিং নম্বর ৫৬৯, রেজিঃ নম্বর-৩৫৫২, সেশন ২০১১ইং। এখানেই শেষ নয়, রিজেক্ট লিস্ট প্রকাশ হওয়ার পর ২০১২ইং সালে অতীশ দিপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লুৎফুর রহমান একই নামে পুনরায় এল.এল.বি পাশ সনদ সংগ্রহ করেন যার রেজি নংঃ ১২২০১২২৭৮৩। তারপর পুনরায় ইন্টিমেশন জমা দেওয়ায় বার কাউন্সিল রেজি নংঃ ৬২৫৫/২০১২ মূলে ২০১৩ সালে সনদ পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন যার রোল নং ৫৬৭০/২০১৩। ২০১৩ সালের গঈছ পরিক্ষায় কৃতকার্য হয়ে ০৮/০৩/২০১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত লিখিত পরিক্ষায় অকৃতকার্য হন। ১৪/০৫/২০১৬ ইং তারিখে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে অবৈধ ভাবে উক্ত লুৎফুর রহমান সনদ লাভ করেন যার রোল নং ১৮৭০৯, কুমিল্লা বারের সদস্য নং ১২২৮ ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নং ১৪৪১।
এই বিষয়ে অভিযোক্ত লুৎফর রহমান জানান আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। একটি কুচক্রী মহল আমার ভাব মুর্তি নষ্ট করতে দায়রা জজ সহ বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দিচ্ছে। কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শহিদুল্লাহ বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে লুৎফর রহমানকে চিঠি দিয়ে তার সনদের মুল কপি গুলো আইনজীবী সমিতির কাছে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।