মনোহরগঞ্জে পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টায় উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের নুরুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বসতঘর সহ ঘরে থাকা সকল আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবদুল জলিল বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার মনোহরগঞ্জ থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে আব্দুল জলিলের সঙ্গে তার বড় ভাই আবদুস সত্তারের ওয়ারিশদের প্রায় ৫/৬ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে ১০/১৫ বার সালিশ হয়েছে। আগেও এরকম অগ্নিকান্ডে ঘটনার জন্য ২০১৬ সালে বাদী আব্দুল জলিলকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবদুল জলিল এর ভাইয়ের পরিবারের সাথে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সবসময় বিরোধ লেগে থাকতো। এবং উস্কানীমূলক আচরণসহ সবসময় জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করতো আব্দুস সাত্তারের পরিবার। ৭ জানুয়ারি পুনরায় একটি সালিশে বৈঠক হবার কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ৫ জানুয়ারি রাতে আব্দুল জলিলের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
অগ্নিকাÐে ক্ষতিগ্রস্থ আবদুল জলিল বলেন, এখন আমাদের খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
আব্দুল জলিলের মেয়ে তাসলিমা জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তাদের ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর (বীমা কোম্পানীর) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র ও ঘরে থাকা পার্সপোর্ট এবং ভিসা পুড়ে ছাই। এ ঘটনায় তাদের প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, আব্দুল জলিল বাদি হয়ে অগ্নিকাÐের ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনবো।