কুমিল্লা জেলালাকসাম

লাকসামে তিশা ট্রান্সপোর্ট ভোগান্তির আরেক নাম

লাকসাম থেকে ঢাকাগামী মানুষের যাতায়াতের প্রধান ভরসা তিশা এক্সক্লুসিভ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের বাস। অন্য কোনো পরিবহনের সেবা না থাকায় নিজেদের মতো করে যেমন ইচ্ছে সেবা দিচ্ছে তারা। বলা বাহুল্য, সেবার মান অতি নগণ্য।

 

অন্যান্য বাস যেখানে তিনঘন্টা বা তারও কম সময়ে পৌঁছাচ্ছে, সেখানে তিশার সর্বনিম্ন সময়ই চারঘন্টার উপর। চান্দিনা পর্যন্ত থেমে থেমে যাত্রী নেয়, যেন মান্ধাতা আমলের মুড়ির টিন।

তার উপর বাড়তি মাথাব্যথা একই সিটের টিকিট একাধিক লোকের কাছে বিক্রয় করা। এমন ঘটনা ঘটছে অহরহ! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিশার এক কর্মী বলেন, ‘কখনও একই সিটের টিকিট ৪/৫ জনের কাছেও বিক্রয় করা হয়। এতে কেবল যাত্রীরা নয়, হয়রানির স্বীকার হই আমরাও”

গরু বাজার এলাকায় কাউন্টার থাকলেও নেই তিশা বাসের নির্দিষ্ট ডিপো। গরু বাজারের এক পাশে বেশ কিছু বাস রাখা গেলেও অধিকাংশ বাস থাকছে ঢাকা-নোয়াখালি মহাসড়কের উপর। গরু বাজার থেকে শুরু করে একদম ফতেহপুর ব্রীজ পর্যন্ত পুরো রাস্তাতেই বাসগুলো অবৈধভাবে পার্ক করা থাকে। এমনকি কোনো কোনো সময় রাস্তার দু’পাশেই থাকতে দেখা যায়।

এতে রাস্তা সংকুচিত হয়ে এসেছে অনেকটা। কিন্তু তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই কারও! নানান সময়ে জ্যাম লাগার বড় কারণ তিশা বাসের এই রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকা। এভাবে রাস্তা ব্লক করে বছরের পর ধরে তিশা বাসের পার্কিং দেখে মনে হয় যেন এটা তাদের অধিকার! বিশেষত, ঢাকা নোয়াখালি চার লেন সড়কের কাজ চলাকালীনও বাসগুলোর এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা, দিনের পর দিন অনিয়ম করে পার পেয়ে যাওয়াটা প্রশ্ন তোলে সার্বিক ব্যবস্থাপনার দূর্বলতা নিয়ে!

 

Show More

Related Articles

Back to top button