কারিনার বোন ‘সৌম্যা টন্ডন’ ফিল্ম ছাড়া সব পেশাতেই সফল
মডেলিং, উপস্থাপনা, ধারাবাহিকে অভিনয় এবং তারপর ফিল্ম। ২০০৬ সাল থেকে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিলেন সৌম্যা টন্ডন। আর সে বছর থেকেই সাফল্য যেন তার পা ছুঁয়ে ফেলে। এই চার ক্ষেত্রের মধ্যে প্রথম তিন ক্ষেত্রেই সফল সৌম্যা। শুধু মাত্র ফিল্মে সে ভাবে জমাতে পারেননি তিনি।
ধারাবাহিকে ২০০৬ সাল থেকে কাজ করেন। এর এক বছরের মধ্যেই আবার ফিল্মেও সুযোগ পেয়ে যান। ‘জব উই মেট’-এ কারিনা কাপুরের বোনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সৌম্যাকে। ছোট পর্দা থেকে এত তাড়াতাড়ি বড় পর্দায় সুযোগ পাওয়ার উদাহরণ খুব কম রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে।
সৌম্যার জন্ম মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। তার বাবা অধ্যাপক। পড়াশোনা শেষ করে ২০০৬ সালে তিনি মডেলিং শুরু করেন। মডেলিংয়ে সাফল্য আসতে শুরু করে ওই বছর থেকেই। তার পর উপস্থাপকের কাজ করতে শুরু করেন। অভিনয় যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনই উপস্থাপনাও বেশ কঠিন। ছবির মতো হিট-ফ্লপের ভাবনা বা চাপ না থাকলেও শোয়ের উপস্থাপকদের রীতিমতো টানাপোড়েনের মধ্যে কাটাতে হয়।
মনের সব আবেগ লুকিয়ে রেখে হাসিমুখে মঞ্চে নিজেকে হাজির করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। খুব সাবলীল ভাবেই সেটা করতে পারতেন সৌম্যা। তিনি ভারতীয় টেলিভিশন শো-এর জনপ্রিয় মুখও। ২০০৬ সালেই মডেলিং এবং উপস্থাপনার পাশাপাশি হিন্দি ধারাবাহিকেও কাজের প্রস্তাব পেতে শুরু করেন।
২০০৬ থেকে এখনও ধারাবাহিকে কাজ করে চলেছেন তিনি। তবে তার সবচেয়ে সফল ধারাবাহিক ‘ভাবীজি ঘর পর হ্যায়’। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই ৫ বছর ‘ভাবীজি ঘর পর হ্যায়’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। এই ধারাবাহিক তাকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। কিন্তু টানা ৫ বছর কাজ করার পর ২০২০ সালে আচমকাই তিনি এই ধারাবাহিক থেকে বিদায় নেন।
ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন, লকডাউনে তাকে পারিশ্রমিক কাটছাট করতে বলা হয়েছিল। তাকে যা পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাতে নাকি সৌম্যার ব্যক্তিগত এবং সংসার খরচ কোনওভাবেই বহন করা সম্ভব ছিল না। এ কারণেই নাকি এই জনপ্রিয় ধারাবাহিকটি ছেড়ে দেন সৌম্যা। সৌম্যা ছিলেন এই ধারাবাহিকের অন্যতম আকর্ষণ। সৌম্যার বদলে অন্য মুখ দর্শক কত তাড়াতাড়ি মেনে নিতে পারেন সেটাই দেখার।
২০১৬ সালে কলেজের বন্ধু সৌরভকে বিয়ে করেন সৌম্যা। ২০১৯ সালে তাদের এক সন্তান হয়। সন্তানকে নিয়েই আপাতত ব্যস্ত সৌম্যা। অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখিও করতে ভালবাসেন তিনি।
সূত্র: আনন্দবাজার