ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, কারিগরি ও বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের বেতন দিতে হবে না। আর তা কার্যকর হবে শিক্ষার্থীর বর্তমান পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এ ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের (সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের বেতন/টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আহত শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রসহ এ বিষয়ে আবেদন করবেন।
আরও বলা হয়, আহত শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের বর্তমান পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন/টিউশন ফি মওকুফের-এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবিলম্বে আবেদনগুলো যাচাই করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে ১৫ জুলাইয়ের পর। ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে মারা যান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। সেদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৫ জন নিহত হন। আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে সহিংসতা।
পরে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। দেশ ছেড়ে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ২৯ অক্টোবরের তথ্য বলছে, জুলাই–আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনের আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে সংঘাত–সহিংসতায় ৮৬৯ জন নিহত হন।আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ১৫ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ।