কুমিল্লা জেলালাকসাম
Trending

উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়ল বিদ্যালয়ের ৪ তলা নতুন ভবন!

নিম্নমানের রড ও নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার অশ্বদিয়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

নির্মাণকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী।প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই সব সামগ্রী দিয়ে ছাদ ঢালাইসহ অন্যান্য কাজ করছেন। এ কারণে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভবন ফাটল ও ধসে পড়েছে ভবনের বারান্দার রেলিং। ধসে পড়া দূর্ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষার্থী সাফায়ত নামে এক ছাত্র আহত হয়েছে। ২৪ আগষ্ট মঙ্গলবারে ছাত্র আহত ও স্কুল নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগে শুনে নির্মাণ ভবনে ভাঙচুর করেছে স্কুল ছাত্র ও গ্রামবাসী।

নির্মাণাধীন এ স্কুলের বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। খবর পেয়ে বুধবার নির্মাণাধীন বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শন ও আহত ছাত্রকে দেখতে আসেন জেলা প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির লোকজন।

জানা যায়,উপজেলা বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নে অশ্বদিয়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা একটি ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা ব্যায়ে স্কুলটির নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স মোস্তফা কামাল নামে কুমিল্লার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। গত বছরের জুলাইয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন এ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণের প্রথমেই স্কুলটিতে অনিয়ম করে কাজ শুরুর অভিযোগ ছিল। ভবনের বেস ঢালাইয়ে নিম্নমানের পুরনো রড ও সিমেন্ট ব্যবহার করতে দেখে এলাকাবাসী নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও ইন্জিনিয়ারকে জানান।

২৪ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে এসএসসি পরীক্ষার অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বিদ্যালয়ে আসেন সাফায়ত নামে এক পরীক্ষার্থী। নির্মাণধীন ভবনে বারান্দায় দাঁড়িয়ে রেলিং পা রেখে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় রেলিং ধসে নিচে পড়ে আহত তিনি।এছাড়া ঠিকমতো রড-সিমেন্ট না দিয়ে কাজ চলছে এমন খবর পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ আর ছাত্ররা মিলে ভবনটি প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর করে।

স্থানীয়রা আরও জানান, রড, সিমেন্ট কম দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এতে ভবনটি যেমন দীর্ঘস্থায়ী হবে না, তেমনি স্কুলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। টেকসই আর নিরাপদ ভবন চান তারা।

অশ্বদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক জানান, বার বার সতর্ক করার পরেও ঠিকাদারের লোকজন অনিয়ম করে ভবনের কাজ করে ছাত্র আহতের বিষয়ে ছাত্ররা স্কুল ভবনটির কিছু অংশ ভাঙচুর করে। আমরা সঠিক নিয়মে কাজ চাই।

মেসার্স মোস্তফা কামাল নামে প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মনির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, জানা মতে স্কুলটিতে কোনও অনিয়ম হয়নি। ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শে কাজ চলছে। তবে নির্মাণ শ্রমিকরা স্কুলের বারান্দার কাজ করার সময় এক জায়গায় কম রড ব্যবহার করেছে ওই স্থানটি ধসে পড়ে এক ছাত্র আহত হয়েছে জানতে পেরেছি ওই ছাত্রের চিকিৎসা খরচ দিচ্ছি । স্কুলের লোকজন মিলে নিছ তলা থেকে ৪ তলা বারান্দার রেলিং ভাঙচুর করেছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন,নির্মাণের শুরুতে ঠিকাদার অনিয়ম করে আসছে,রেলিং ধসে এক ছাত্র আহত হয়েছে। ছাত্ররা ভাংচুর করেছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি।জেলার ইঞ্জিনিয়ার সাহেবরা এসেছে তারা ঠিকাদারকে বলেছেন সঠিক নিয়মে কাজ করার জন্য এবং আহত ছাত্রের চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

Show More

Related Articles

Back to top button