কুবি ছাত্রলীগ নেতাকে অপহরণ মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
কুমিল্লার লাকসামে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো.নাজমুল হাসান বাপ্পি নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেলে কুমিল্লা নগরীর একটি হোটেলে ওই ছাত্রলীগ নেতার পরিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন।
তারা বলেন, বাপ্পি ওই অপহরণের ঘটনা বা মামলা সম্পর্কে কিছুই জানে না। শুধুমাত্র ওই ছাত্রলীগ নেতার পরিবারকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দাবি তাদের।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ‘লাকসামে নবম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণ, ধরাছোঁয়ার বাইরে আসামিরা’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের একাংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। বাপ্পি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন। তিনি মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা ইউনিয়নের খিলা গ্রামের বাবুল মিয়া ওরফে বাবুল মেম্বারের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে বাপ্পি, তার পিতা বাবুল মেম্বার এবং খিলা গ্রামের বদিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, খিলা গণউদ্যোগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে গত ৫ জুন লাকসায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর মা। তিনি লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। মামলায় পাশের মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা গ্রামের বদিউল আলম ও তারা ছেলে মো.তানভীর হোসেন, বাবুল মেম্বারের ছেলে নাজমুল হাছান বাপ্পিসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়। গত ৬ জুন পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে। এছাড়া একই দিন মামলার প্রধান আসামি তানভীরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার প্রধান আসামি তানভীরের পিতা বদিউল আলম বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে। মেয়ের মা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করেছেন। আর সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াটভাবে মামলার দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পিকে। বাপ্পির এ ঘটনার সঙ্গে কোন সর্ম্পক নেই। তাকে ও তার পরিবারকে রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে ওই মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি মামলা প্রত্যাহার এবং এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে ওই ছাত্রলীগ নেতার পিতা বাবুল মেম্বার বলেন, আমার ছেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। সে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে। এলাকার সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সে এখন বাড়িতে আছে। এরই মধ্যে কু-চক্রি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার ছেলেকে কথিত ওই অপহরণ মামলায় জড়িয়েছে। আমরা অবিলম্বে ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
বাবুল মেম্বার আরও বলেন, ওই মামলার সূত্র ধরে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন পত্রিকা এবং অনলাইন গণমাধ্যমে যেই সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তাঁর একাংশের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসব সংবাদে আমার ছেলের নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমার ছেলের এসব ঘটনার সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। ওই কু-চক্রি মহল সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে এ ধরনের নিউজ প্রকাশ করিয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা আমার ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিতে চায়। আমি তাদের এসব অপকর্মেরও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
