জাতীয়

বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় ড. ইউনূস

২০২৫ সালে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকা প্রকাশ করেছে আম্মানের দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার। তালিকার শুরুর দিকে রয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম।গত ১৬ বছর ধরে এ তালিকা প্রকাশ করছে আম্মানের দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার।

বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের প্রভাব ও অবদান পর্যালোচনা করে প্রতি বছর প্রকাশিত হয় ‘দ্য মুসলিম ৫০০: দ্য ওয়ার্ল্ডস ৫০০ মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস।’ ৫ ক্যাটাগরিতে প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকা তৈরি করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল সেন্টার ফর মুসলিম-ক্রিশ্চিয়ান আন্ডারস্ট্যান্ডিং নামক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় তালিকাটি প্রকাশ করা হয়।প্রভাবশালী শীর্ষ মুসলিম ব্যক্তিত্ব ও শাসক হিসেবে তালিকায় নাম রয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। ২০২৩ ও ২৪ সালের তালিকাতেও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম ছিল।

তবে সে সময় ৪৫০ জনের সম্প্রসারিত তালিকায় তার নাম ছিল। এই তালিকায় যাদের নাম থাকে তাদের অবদান ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ।৫ ক্যাটাগরিতে প্রভাবশালী নির্বাচন করা হয়, সেগুলো হলো- প্রভাবশালী আলেম, প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব। যারা ইসলামের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। মুসলিম শাসক ও রাজনীতিবিদ, যারা মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্বে রয়েছেন।

প্রযুক্তির অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনকারী। সংস্কৃতি ও শিল্পের মাধ্যমে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিত্ব। মুসলিম ক্রীড়াবিদ ও তারকা, সমাজে যাদের প্রভাব বিদ্যমান।শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস দীর্ঘদিন ধরে মাইক্রোফাইন্যান্স ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত।

এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান এবং বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব তাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকায় বাংলাদেশ থেকে অন্যতম মুখ।তালিকায় বাংলাদেশের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া আরও দুই নারী রয়েছেন।

তারা হলেন- ড. হামিদা হোসেন ও রাজিয়া সুলতানা।ড. হোসেন বাংলাদেশের ও সারা বিশ্বের মানবাধিকার-নারী বিষয়ক অনেক বই এবং নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তিনি আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের (বিডিআই) লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।রাজিয়া সুলতানা আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী।

তিনি রোহিঙ্গাদের নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করছেন। শতাধিক রোহিঙ্গা নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা যৌন নির্যাতনের কাহিনী প্রকাশ করেছেন। তিনি ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের (এফআরসি) সমন্বয়ক ও আরাকান রোহিঙ্গা জাতীয় সংগঠনের (এআরএনও) পরিচালক।

২০১৯ সালে তিনি আন্তর্জাতিক নারী সাহসী পুরস্কার লাভ করেন।তালিকায় শীর্ষ শাসক ও রাজনীতিবিদ হিসেবে আরও যাদের নাম রয়েছে- জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইবন আল-হুসেইন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, ইরানের আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আলে সৌদ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, আফগানিস্তানের মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও যুক্তরাজ্যের সাদিক খান।

এই সংস্করণে চলতি বছরের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিষয়েরও আলোচনা করা হয়েছে। যেমন, গাজায় চলমান গণহত্যার ২০২৩ সালের পরিস্থিতি, প্যারিস অলিম্পিকে মুসলিম ক্রীড়াবিদদের কৃতিত্বসহ মুসলিম উম্মাহর ওপর প্রভাব বিস্তারকারী বেশ কিছু ঘটনা।

Show More

Related Articles

Back to top button