দেশজুড়ে

ঢাকায় রাত থেকেই লাইনে টিকার অপেক্ষায় প্রবাসীরা

পিরোজপুরে বাসিন্দা সুভাষ রায়  তিন নম্বর সিরিয়াল বসে আছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তিনি অপেক্ষায় টিকা কেন্দ্রের বাইরে। তিনি বলেন, বুধবার তার টিকা নেওয়ার তারিখ, তাই আজ চলে এসেছেন বিকাল চারটায়। এসে এখানে বসে আছেন। তিনি মর্ডানার ২য় ডোজ নিবেন।

কেবল সুভাষ রায় নন নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী খুরশীদ আলম,  কুমিল্লার বাসিন্দা সুমন, ইসমাইল হোসেন, সহ অনেকেই টিকা নিতে এসেছেন। এদের সকলেই প্রবাসী। টিকা ডেটের আগের দিন বিকাল থেকে কেন বসে আছেন জানতে চাইলে তারা বলেন, হুট করে এসে হোটেল উঠে কি করবো, তা ছাড়া সকালে এসে দেখবো প্রচুর ভির জমে যায়। কমপক্ষে ৫/৬ শত লোকের পেছনে চলে যাবো। তাই আগে ভাগেই চলে এসেছি।

সকাল সকাল ডোজ নিয়ে চলে যাবো। প্রথম ডোজ নিতে এসে বুঝতে পেরেছিলাম কত কষ্ট করতে হয়েছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, রাতে কথাবার্তা বলতে বলতে এমনিতেই সময় পার হয়ে যাবে।রাত আনুমানিক নয়টা ঢামেক হাসপাতাল জরুরি বিভাগে পাশে টিকা কেন্দ্রের সামনে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েক পাটি বিছিয়ে কেউ শুয়ে আছেন, আবার কেউ বসে আছেন তারাই জানালেন এসব তথ্য।

এদিকে অধিদফতর বলছে সঠিক তথ্য জানে না বলেই এই হয়রানি। মডার্না টিকা সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া যায়। প্রবাসীকল্যাণ কোনও কেন্দ্র ঠিক করে দেয় না। নোয়াখালী থেকে যিনি এসেছেন তিনি কুমিল্লা গিয়ে নিতে পারতো। যখন দেশে ফাইজার দেওয়া হয় তখন শুধু প্রবাসীদের ৭টি হাসপাতালে টিকা ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। তখন সারাদেশ থেকে এসে ঢাকায় টিকা নিতে হতো। সেটা তারা এখনেও মনে করে টিকা নিতে ঢাকায় যেতে হবে।

সেখানে এক আনসার সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, টিকা নেয়ার প্রার্থীরা আগের দিন বিকাল থেকে সারারাত এভাবেই আসতে থাকেন, সকাল হতে হতে এ লাইন মেইন গেইট হয়ে বাহির দিয়ে প্রশাসনিক গেইটও পার হয়ে যায়। সেখানে প্রায় দু’হাজারও বেশি লোক হয়ে যায়।

ঢামেক হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকাল পর্যন্ত নিবন্ধনকৃত প্রবাসীসহ টিকা সকলকে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রথম ডোজ, ২য় ডোজ, সব মিলিয়ে ৩১৯৯ ডোজ দেওয়া হয়েছে।

Show More

Related Articles

Back to top button