স্বাস্থ্যকথা

কী হয় ওভেনে গরম করে খাবার খেলে.?

মাইক্রোওয়েভ ওভেন আমাদের আধুনিক জীবনের অন্যতম অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সবাই কম-বেশি ব্যস্ত। যেসব পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকুরিজীবী, তাদের জন্য মাইক্রোওয়েভ ওভেন এক আশির্বাদের নাম। কারণ তাদের প্রতিদিন রান্নার সুযোগ মেলে না। একটু সময় পেলে বেশি করে রান্না করে নিয়ে ফ্রিজে রাখেন এবং প্রয়োজনমতো ওভেনে গরম করে খান।

আমাদের জীবনযাপনকে সহজ করার পাশাপাশি কিছু কারণে ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে আধুনিক এসব জিনিস । যেমন ধরুন, বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা জানাচ্ছেন মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম না করাই ভালো। কারণ এতে থাকে খাবারের এবং শরীরের ক্ষতি হওয়ার ভয়। এর ফলে নানা ধরনের জটিল রোগ দেখা দিতে পারে। জেনে নিন মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করলে কী হতে পারে-

ওভেনের খাবার ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ায়

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন নিয়মিত মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করে খেলে তা বাড়াতে পারে। যদিও কোনো গবেষণা থেকে এমন প্রমাণ এখনও মেলেনি। এদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাছ-মাংস জাতীয় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘ সময় রান্না করলে তাতে জন্ম নেয় এইচসিএ নামক একটি ক্ষতিকর উপাদান। এর ফলে বাড়ে ক্যান্সারের আশঙ্কা। তাই মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করার আগে কোন খাবার কতটুকু সময় গরম করবেন, কোন খাবার গরম করা ঠিক নয় তা জেনে নেওয়া জরুরি।

 

খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে

কোন খাবার কতটা তাপমাত্রায় গরম করতে হবে তা অনেকেরই জানা নেই। যে খাবার এক মিনিট বা ত্রিশ সেকেন্ড গরম করলেই যথেষ্ট, সেটি হয়তো আরও বেশি সময় গরম করে ফেলেন। আবার যে খাবার গরম করতে বেশি সময় লাগে, সেটি কম সময়ে গরম করে খেতে বসে যান। এতে খাবারে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তার হাত ধরে আসে নানা অসুখ। তাই মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করার আগে কোন খাবার কতটুকু তাপমাত্রায় গরম করা যাবে তা জেনে নিন। না জেনে ব্যবহার করলে উপকার তো হবেই না, বরং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

 

মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা ঠিক নয় যেসব খাবার

কিছু খাবার রয়েছে যা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা ঠিক নয়- এমনটাই জানানো হয়েছে ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি বা এফএসএ-এর এক রিপোর্টে। গাজর, পালং শাক ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা কোনো খাবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করবেন না। এছাড়াও ভাত, ডিম, মুরগির মাংস, আলুর তৈরি খাবারও ওভেনে গরম করতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা।

Show More

Related Articles

Back to top button